স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের বিচার প্রশাসন অত্যান্ত গতিশীল রয়েছে এবং বিচার প্রার্থীদের কল্যাণে যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচার প্রার্থীরা যাতে কোর্টে এসে হয়রানির শিকার না হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক গতকাল সিরাজগঞ্জে পুলিশ- ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তবে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কোনও কর্মচারী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুরায় ও হয়রানি করে তাহলে সরাসরি জানালে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মাদকের মামলায় জামিনের ব্যাপারে কোর্ট খুব সজাগ থাকে। সহজে যাতে আসামি জামিন না পায় সেদিকে লক্ষ রাখা হয়। এছাড়া এ অ্যাফিডেফিড এর মাধ্যমে যারা বয়স কমান বা বাড়িয়ে বিয়ে করেন তাদের কোন আইনগত ভিত্তি নেই। কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন বিয়ে কোর্টে হয় না। যারা এ কাজ করেন তারা অবৈধ কাজ করছেন। এরকম যাতে না হয় তার জন্য আইনজীবীদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা সকলে জনগণের কল্যানের জন্য কাজ করছি। জনগণকে কেউ হয়রানি না করে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এছাড়া কোর্টে সাক্ষীদের দ্রুত হাজির এবং দ্রুততম সময়ে মামলার নিষ্পত্তির ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) জেলা জর্জ কোর্টের শহীদ সোহেল আহমেদ জগন্নাথ পারে স্মৃতি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিচার বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নানাবিধ সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো, নুর আলম, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফরিদুল ইসলামসহ বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, পাবলিক প্রসিকিউটর ও অফিসার ইনচার্জবৃন্দ।