অপরাধ

বৈষম্যকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য না করা আইনের দুর্বল দিক: অধ্যাপক মিজানুর রহমান

বৈষম্যবিরোধী আইনের খসড়া গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আইনটি করার দাবি ছিল। এ আইনের নানা দিক নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেনআপনি ঠিকই বলেছেন, আমি যখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দায়িত্বে ছিলাম, তখনই এ ধরনের একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছিলাম। বস্তুত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, আদিবাসী ফোরাম ইত্যাদি সংগঠন একযোগে অনেক মতবিনিময় ও আলাপ–আলোচনা করে বৈষম্যবিরোধী আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছিলাম। খসড়া আইনটি নিয়ে সব বিভাগীয় সদরে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল এবং তারপর সব সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক খসড়াটিতে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে চূড়ান্ত রূপ দেন এবং সেই চূড়ান্ত খসড়া আইনটি আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেছিলাম। পরে জানতে পেরেছি, আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আবার নতুন করে এই বিষয়ের ওপর কাজ করে এবং একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করে। এর মধ্যে আসলেই এক দশকের বেশি সময় চলে গেছে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অনাকাঙ্ক্ষিত কালক্ষেপণ হয়েছে। তবে এরপরও যে আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে, তা যেকোনো মানবাধিকারকর্মীর জন্য অতি আনন্দের বিষয়। আর মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করছে বলে আমি মনে করি। এতটা সময় চলে যাওয়ার কারণে মনে শঙ্কা বেঁধেছিল যে বৈষম্যবিরোধী আইন কোনো দিনই আলোর মুখ দেখবে কি না। শঙ্কাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত, আনন্দিত এবং সরকারকে এ জন্য সাধুবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button