স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স ও ওয়ার্ড টাস্ক ফোর্স কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার ৯নং ব্রক্ষগাছা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম ছরওয়ার লিটন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমৃতা শারলীন রাজ্জাক।
এসময় উপসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের উচিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। এগুলো একদিকে যেমন প্রয়োজনীয় আবার অপর দিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ডিজিটাল ও উন্নত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রয়োজন উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি এবং উন্নত সেবা। আর এই উন্নত সেবা সব নাগরিকদের মাঝে পৌঁছে দিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা প্রয়োজন। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে গেলে জন্মনিবন্ধন আবশ্যক। জন্মনিবন্ধন ব্যতীত কেউই জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে পারবেন না। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বেশিরভাগ উন্নত সেবা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই তার জন্মনিবন্ধন তৈরি করা উচিত। এই বিষয়ে প্রত্যেক বাবা-মায়ের গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন তৈরির ফি বিনামূল্যে করে দিয়েছে। আর এতে সাধারণ কর্মজীবী মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হবে।
একটি শিশুর সঠিক শিক্ষার্জন, উন্নত চিকিৎসা সেবা, সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাওয়া, অপব্যবহার, শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পেতে এবং এসব অধিকার রক্ষায় সঠিক সময়ে শিশুর জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করুন। একই ভাবে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যেই তার মৃত্যুনিবন্ধন তৈরি করা উত্তম। তাৎক্ষণিক এসব জন্ম বা মৃত্যু সনদ প্রয়োজন না হলেও যেকোনো সময় বা যেকোনো পরিস্থিতিতে এসব সনদগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আমাদের জন্য।
আসুন আমরা নিজ পরিবার ও সমাজের সবাইকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে অবহিত করি ও তাদেরকে সচেতন করি। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন, ইউপি সচিব মো. হাফিজুর রহমান। এসময় বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ০-৪৫ দিনের শিশুকে জন্ম সনদ তুলে দেন।