ইদ্রিস আলী, চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ভূতের মোড়ে যমুনায় আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় এক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন হুমকির মুখে। নদী ভাঙ্গন তীব্রতায় চরসলিমাবাদ ভুতের মোড় এলাকা লন্ডবন্ড হয়ে গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘর বাড়ি ও ভুতের মোর দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র। ভাঙ্গন কবলে পরেছে চরসলিমাবাদ দক্ষিণ পারা সপ্রাবি, পয়লা দাখিল মাদরাসা, পয়লা বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়,চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, চরসলিমাবাদ দক্ষিণ পাড়া কবরস্থান, বাকুলিয়া সপ্রাবিসহ প্রায় ডজন খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতি বাড়ি ।
নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে অনেকেই গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে ঘর ছাপড়া দিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছে এবং স্কুল এর টিন সরিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তা ও বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে।
উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকার স্কুল ভেঙ্গে যাওয়ায় ও ভাঙ্গন কবলিত এ সব কমলমতি শিশুদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে দরকার জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা। গ্রামবাসির অভিযোগ একদিক থেকে সঠিক ভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ না করায় আজ চরসলিমাবাদ ভুতের মোর লন্ডভন্ড।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, নদীর পাড়ঘেষা বিদ্যালয়ে আগে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল এখন ১০০ থেকে দেড়’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে চৌহালীর খাষপুখুরিয়া হতে চর সলিমাবাদ পর্যন্ত নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ ২ জুন উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার এ শিক্ষা অঙ্গন একাধিক বার ভাঙ্গন কবলে পরেছে, বহু কষ্ট করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে পাঠদান সচল রাখা হয়েছে। এখন আবার হুমকির মুখে পরেছি, দ্রুত বাঁধের কাজ না হলে চরসলিমাবাদ ভুতের মোড় এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্বে বিলীন হবে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে এবং নদীর তীর সংরক্ষণে স্থায়ীবাধ বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পরেছে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম মোল্লা বলেন, ভুতের মোর এলাকা রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রাখা দরকার, বসতি ও শিক্ষা অঙ্গন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহবান সবমহলের।