সদরসিরাজগঞ্জ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জীবিত ভাষাসৈনিক, মীর আবুল হোসেন,আনোয়ার হোসেন রতু, জাফর ইমাম ভোলা ও বিজ্জজ আহমেদ বিজলীকে

ভারত বর্ষ বিভক্ত করে তৈরি করা হলো ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। আমাদের অগ্রজ ভারতবর্ষের মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে শ্লোগান তুলেছিল লড়কে লেয়েঙ্গা পাকিস্তান ছিনকে লেয়েঙ্গা পাকিস্তান।

আর আগেই মুসলিম লীগের নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান ও আলীগড় বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জিয়াউদ্দীন আহমেদ উর্দুকে ভবিষৎ পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে বক্তব্য দেয়। এর প্রতিফলন পাকিস্তান রাষ্ট্রের সূচনাতেই দেখা যায় সদ্য ভুমিষ্ঠ পাকিস্তনের পূর্ব বঙ্গে পোষ্টকার্ড থেকে বাংলা অপসারিত হয়ে উর্দু ও ইংরেজি প্রতিস্থাপন। যার চূড়ান্ত রূপ ছাত্রজনতা দেখে ৪৮ সালের মার্চ মাসে যখন পাকিস্তানের জাতির পিতা, গভর্ণর জেণারেল ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করে- Urdu and Urdu shall be the state language of Pakistan.

এর আগে একই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় ও কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পার্লামেন্টে ইংরেজী ও উর্দ্দুর পাশাপাশি বাংলাকে অধিবেশনের কার্যবিবরণীতে যুক্ত করার প্রস্তাব উন্থাপন করেন। তার প্রস্তাব বাতিল হয় এবং এধরনের চেষ্টাকারীকে পাকিস্তানের দুশমন বলে অভিহিত করে মুসলিম লীগ নেতা গুজরাটি লিয়াকত আলী খান।

বাঙালির বোধেদয় ঘটে।  মি. জিন্নাহর ঘোষণার পর পরই শুরু হয় মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবী আদায়ে রাজপথের আন্দোলন। ওই আন্দোলনে সিরাজগঞ্জের যে কৃতীজনরা লড়েছিলেন তাদের মধ্যে এখনও জীবিত আছেন চারজন। ৪৮ এর সিরাজগঞ্জের ভাষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ভাষা সৈনিক মীর আবুল হোসেন, বর্ষিয়ান সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হোসেন রতু, জাফর ইমাম ভোলা ও বিজ্জজ আহমেদ বিজলী।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জীবিত ্এসব ভাষা সৈনিদকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button