স্টাফ রিপোর্টার: আজ ২৭ নভেম্বর ভাষা সৈনিক মরহুম ডা. আব্দুল মোতালেব খানের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সকালে পবিত্র কোরআন খানি বাহিরগোলা জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও রহমতগঞ্জ পৌর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হবে।
মরহুম আব্দুল মোতালেব খান ১৯৩০ সালে ১৬ মে সিরাজগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম বাবর আলী খান। মোতালেব খান সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বাহিরগোলা সড়কের একজন স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
১৯৫২ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে শিক্ষার্থী থাকাবস্তায় ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ফলে ২৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সালে গভীর রাত্রিতে সিআইডির রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রাবাস ঘেরাও দিয়ে জগন্নাথ কলেজে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বের অভিযোগে আব্দুল মোতালেব খানসহ কয়েকজন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্যান্য রাজবন্দীদের সাথে মাসাধিকাল জেল খেটে আব্দুল মোতালেব খান শহর জামিনে মুক্তি পান। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে “এন্টি স্টেট পাকিস্তান অ্যান্ড কমিউনিষ্ট” হিসেবে চার্জ গঠন করে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তিনি ১৯৬৪ সন হতে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন খান প্রিন্টিং প্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ও সত্ত্বাধিকারী ও ‘সাপ্তাহিক হিন্দোল’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, জেলা মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, সিরাজগঞ্জ সংবাদপত্র পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সংসদ সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
ভাষা সৈনিক আব্দুল মোতালেব খান ছিলেন একাধারে তিনি কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রবীণ হোমিও ডাক্তার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবেও তিনি সুধী মহলে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।