ছোলায়মান আলী বাবু শেরপুর থেকে: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী তীর্থপীঠ বগুড়া শেরপুরের মা ভবানীমন্দিরে সীমনা নিয়ে বিরোধের জেরে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ও টিনের বেড়া হামলা চালিয়ে ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল এই হামলা করে বলে জানিয়েছেন মন্দির পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধায়ক অপূর্ব চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে এই সম্পত্তির মালিক মা ভবানীর মন্দির। আদালতের নির্দেশে গত বছরের নভেম্বর মাসে মন্দিরে জায়গা অবৈধভাবে দখল করে থাকা ব্যক্তিদের উচ্ছেদ করা হয়। পরে তৎকালীন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন। মন্দিরের নিজস্ব অর্থায়নে চলছিল এই সীমানা প্রাচীরের কাজ। মাঝে কিছুদিন সিমানা প্রাচিরের কাজ অসমাপ্ত রেখে বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই অসমাপ্ত কাজ গত রোববার শুরু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে এই সম্পত্তির মালিক মা ভবানীর মন্দির।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার মন্দিরের পাশে সীমানা প্রাচীরের বেস ঢালাইয়ের কাজ করা হয় । সন্ধ্যায় ওই সম্পত্তির সীমানা নিয়ে বিরোধের বিপক্ষের লোকজন মন্দিরের সম্পত্তিকে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে টিনের বেড়া ও নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করে।
এবিষয়ে অপূর্ব চক্রবর্তী আরও বলেন, হামলাকারীরা মন্দিরের গেস্ট হাউসে প্রবেশ করে নির্মাণাধীন শ্রমিকের আলমগীর ও জাহিদুলকে মারধর করে ও তাদের কাজ করার যন্ত্রপাতি কেড়ে নিয়ে কাজ করা সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে ফেলে বলে জানান। তিনি জানান শ্রমিকের মুখে খবর পেয়ে তিনি স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে সেখানে যান। দূষ্কৃতিকারীরা শাঁবল, রড ও চাকু জাতীয় ধারালো দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের দিকে মারমুখী হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারা আপিল করেছিল, কিন্তু নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আপিলটি খারিজ করে দিয়েছে এবং রায় দিয়েছে সম্পত্তির মালিক মা ভবানীর মন্দির।
এরপরও বিপক্ষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে জায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। শুধু তাই নয়, দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির লক্ষ্যে মোবাইলে হুমকি দেয় এবং রাস্তাঘাটে চলাচলেও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। অপৃর্ব চক্রবর্তী বলেন, গত এক মাস আগেও এনিয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। আর সীমানা প্রাচির ভাঙার ঘটনাটি মন্দিরের সভাপতি জেলা প্রশাসক, সাধারণ সম্পাদক ইউএনওকে সহ কমিটির অন্যান্যদের জানানো হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই মামলা করা হবে।
এ নিয়ে সেলিম বলেন, তৎকালে আদালতের একতরফা রায় তাকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই সম্পত্তি নিয়ে তিনি আদালতের মামলা করেছেন। এই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তাই তিনি এই কাজে বাধা দিয়েছেন। তবে কোন ভাঙচুর সাথে জড়িত নন বলে তিনি দাবি করেন।
এ নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, “খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।