সদরসিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় (১৬ ডিসেম্বর)। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিনটি পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই দিনটি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসন আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩)এ দিবস উপলক্ষে শনিবার সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসুচীর সুচনা করা হয়।

শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় বিজয় সৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল (বিপিএমবার) (পিপিএম), জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তাদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং বাংলাদেশ স্কাউটস, সিরাজগঞ্জ জেলা, ও সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ পুুস্পস্তবক অর্পনে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সকাল ৮ টায়

সিরাজগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস- উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সিরাজগঞ্জের শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা অবমুক্তকরণ, সম্মিলিত কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত প্রদর্শন ও পুরস্কার বিরতণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল( বিপিএম বার) পিপি এমবার) জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, প্রমূখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ, পুনাক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ যে, রক্তঝরা সংগ্রামের পথ বেয়ে এসেছিল আমাদের কাংখিত স্বাধীনতা, মুক্ত আকাশে উড়েছিল লাল-সবুজের ঝাণ্ডা। সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্নে চোখ রাখা বাংলাদেশ আবারও জানাল- এ জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লেতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button