সিরাজগঞ্জের নাট্য ব্যক্তিত্ব মমিন বাবু নাটক ও নাট্য সংগঠনে অসামান্য অবদান রাখায় সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মারক সম্মাননায় ভুষিত হলেন। মান্না দে’র বিখ্যাত কফি হাউজের আড্ডাটা আজ আর নেই- গানের মইদুল খ্যাত সৈয়দ মহিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত নাট্য সংগঠন ব্যতিক্রম নাট্য সংগঠন আয়োজিত সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসবে মমিন বাবুকে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হলো। গত ৪ নভেম্বর, শুক্রবার, ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির মূল মঞ্চে সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসব-২০২২ এর অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন দেশবরণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও পুর্নবাসন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
মমিন বাবু সিরাজগঞ্জের সন্তান। ১৯৮০ সালে ছাত্র জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মঞ্চ নাটকে জড়িয়ে পড়েন। মঞ্চে স্থানীয় তরুন সম্প্রদায়ের একসময়ে অন্যতম অভিনেতা ছিলেন তিনি। অভিনয় আর নির্দেশনায় হাতে খড়ি তরুন সম্প্রদায় থেকেই। এই নাট্য সংগঠন থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন পাথর, বিচ্চু নাটকে। সাত পুরুষের ঋন নাটকে রাজশাহীতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান অর্জন করেন।
এভাবেই চার দশকের অধিক সময় ধরে মমিন বাবু মঞ্চে দেশে এবং দেশের গন্ডির বাইরে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন মঞ্চে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। মঞ্চের বাইরে টিভিতে রয়েছে তার নিয়মিত উপস্থিতি। ছোট পর্দায় তার নিয়মিত উপস্থিতি অভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই নাট্যাভিতো ১৯৯৯ সালে নিজ শহর সিরাজগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্য সংগঠন ‘নাট্যলোক’। নাট্যলোক-কে সংগঠিত করে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জের বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১১টি নাটকের প্রায় ২৫০ টি প্রদর্শনী করেছেন। দেশের বাইওে ভারতের পশ্চিম বাংলার কোলকাতা, বহরমপুর, শান্তিনিকেতন, বোলপুর, করিমপুর, বর্ধমান, সল্টলেক, বশিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে ৩ টি নাটকের ১৫ সফল প্রদর্শনীর সংগঠক মমিন বাবু। এছাড়াও সিরাজগঞ্জে ৫ টি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের আয়োজনের কৃতিত্বের দাবিদার তিনি।
মমিন বাবু দেশের গ্রুপ থিয়েটারের সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনে করেছেন।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসাবে দেশের থিয়েটার আন্দোলনকে বেগবান করতে রেখে চলেছেন তার সৃষ্টিশীল মেধার সাক্ষর।