বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর উদ্যোগে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘মেধা ও মননে সুন্দর আগামী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়িত কৈশোর কর্মসূচির উদ্যোগে মিনি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার আয়োজিত মিনি ম্যারাথনটি ধানগড়া বড় ব্রিজ হতে শুরু করে এনডিপি চান্দাইকোনা (ষোলমাইল) শাখায় গিয়ে শেষ হয়। এতে এনডিপি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের প্রায় শতাধিক কিশোর, কিশোরী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ষ্টেশন অফিসার মো. আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনডিপি’র জোনাল ম্যানেজার মো. মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনডিপির ঋণ সহায়তা কর্মসূচির এরিয়া ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম ও ভুইয়াগাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. মাহবুবা খাতুন।
এসময় অতিথিরা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে খেলাধুলোর কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। একইসাথে সকলকে পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হতে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে সম্মিলিতভাবে ম্যারাথন আয়োজন করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৈশোর কর্মসূচির আয়োজন ভবিষ্যতে কিশোর কিশোরীদের মেধা বিকাশ, সুস্থ মানসিক ও শারিরীক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা মনে করেন।এবং কৈশোর কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠান আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি কৈশোর কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. ফজল করিম, চান্দাইকোনা শাখা ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান, এনডিপি কৈশোর কর্মসূচির সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার আরিফা সুলতানা,স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা সংগঠনের পরিচালক এস,এম বাহাদুর, তরুন উদ্যোক্তা হুজায়ফা হিজল এবং এনডিপি চান্দাইকোনা শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন রায়গঞ্জ উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার মো. বাপ্পী সরকার সহ কর্মসূচির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর যৌথ অর্থায়নে কৈশোর কর্মসূচি ২০১৯ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার চারটি উপজেলায় (সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি ও রায়গঞ্জে) বাস্তবায়িত হচ্ছে।