রায়গঞ্জ থেকে মো. মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জের হাটপাঙ্গাসী বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ভরা মৌসুমেও মিলছে না ইলিশ মাছ। মাঝে মধ্যে কিছু ইলিশের দেখা পাওয়া গেলেও দাম আঁকাশ ছোয়া। এছাড়াও বাজারে অন্যান্য মাছের দামও বেশি। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্তেও ইলিশ মাছ ক্রয় না করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের। আবার কিছু উচ্চ বিত্তের মানুষের জন্যও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা মাছের বাজারে প্রবেশ করার আগেই কাঙ্খিত মাছ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার হাটপাঙ্গাসী বাজারে মাছ ক্রয় করতে আশা মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন জানান, একটি বড় আকৃতির শিং মাছ দাম করতে না করতেই তুলে দেওয়া হলো আমার পাশে থাকা এক ভদ্রলোকের ব্যাগে। ভদ্র লোক চলে যাওয়ার পরে, বলা হলো আপনি আর কয় টাকা দিবেন! ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ওনার কাছে দাম চাইতে হবে না। না চাইলেও ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পাবো। অধিক মুনাফা লোভী মাছ কিছু বিক্রেতার কারণে ইলিশ মাছের স্বাধ নিতে পারছেন না নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা।
উপজেলার কালিঞ্জা বাজার, গ্রামপাঙ্গাসী বাজার, হাটপাঙ্গাসী বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ছোট ইলিশের দামও ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টিকায় কিনতে হচ্ছে। আর বড় ইলিশ হলে তো কোনও কথায় নেই। বর্তমান মাছের বাজারগুলোতে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য নদীর মাছের দামও আকাশচুম্ভী। ফলে বাজারে অনেকেই মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
উপজেলার হাটপাঙ্গাসী গ্রামের মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বাজারে কোনও কিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। মাছের বাজারে এই সময় ইলিশ মাছ পর্যাপ্ত থাকার কথা। কিন্তু পুরো বাজারে ছোট ইলিশ দেখা গেলো মাত্র ১০ থেকে ১২টি। আর এসব মাছের দাম আঁকাশ ছোয়া। যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। এদিকে ইলিশ মাছের সরবরাহ কম বলেই দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন উপজেলার হাটপাঙ্গাসী বাজারের বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী।