মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় সুচিত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতার। আমাদের মহান নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, চিকিৎসা, কবর বাধাই শুধু নয় ইতিহাস খ্যাত জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারই আলোকে সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলা মধ্য ভদ্রঘাট কালিবাড়িতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর তৈরি করেছেন।
গতকাল সিরাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের বেসরকারি গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের স্মৃতি রক্ষার্থে পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি ফলক ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি। তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি কুচক্রি মহল কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ কুচক্রি মহল একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের বিদেশি প্রভুদের যুদ্ধের মাধ্যমে নয় ব্যালটের মাধ্যমে পরাজিত করব।
ঊুধবার, ১ নভেম্বর, সকাল সাড়ে ১১ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের অন্যতম পরিচালিক অ্যাড. বিমল কুমার দাস। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম, কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লা সবুজ, সাবেক জেলা কমান্ডার, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সিএনসি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোরহাব আলী সরকার, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, লুৎফর রহমান মাখন, আমিনুল ইসলাম, ফজলুর রহমান খান, অ্যাড.সুকুমার চন্দ্র দাস, পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের পরিচালক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জ্জার কন্যা হোসনে আরা মির্জা (মুক্তি মির্জা) প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেশের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার বাহিনীর স্মৃতি ‘পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধস্মৃতি সৌধ’ ।