সদরসিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধের কাজ সমাপ্তির পথে

একাত্তরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহবায়নে এদেশের দামাল ছেলেরা ঝাপিয়ে পড়ে তাদের মাতৃভূমি স্বাধীনতা সংগ্রামে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ফিরে আনে তাদের মাতৃভূমি স্বাধীনতা। যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভেই সিরাজগঞ্জে প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জ্জার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে কামারখন্দ উপজেলার কালিবাড়ি ভদ্রঘাট, জাঙ্গাইলা গাতী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘‘পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির’’ এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সন্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। হান্ডিয়াল নওগাঁ,ঘাটিনা যুদ্ধ ছিল অন্যতম। তাছাড়াও ১৭ জুন সিরাজগঞ্জের ভদ্রঘাটে পাক হানাদার বাহিনি আক্রমন করলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এই আক্রমনে প্রতিহত করে। দীর্ঘ সময় সন্মুখ যুদ্ধ শেষে স্বৈরাচারি পাক হানাদার বাহিনী আত্নগোপন করতে বাধ্য হয় । কিন্তু এই ভয়াবহ যুদ্ধে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত বা শহীদ হননি। সে দিনের ভদ্রঘাট এলাকার প্রথম  যুদ্ধ স্মৃতি আজও বীর মুক্তিযোদ্ধা তথা মুক্তিকামী মানুষদের নাড়া দেয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা  দাবি জানালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ কালিন  প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের স্মৃতি রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ে  উত্তর বঙ্গগামী মহাসড়কের পাশে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টি নন্দিত মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ।

কামারখন্দ উপজেলা এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মানুন এবং উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান,প্রতিষ্ঠান ২টির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ।

সিরাজগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে  ‘‘মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর ও  ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতি সৌধ ৯৭ ভাগ  নির্মান কাজ কাজ শেষ হয়েছে । নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্মান কাজ শেষ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের পরিচালক(সিএনসি)  বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী সরকার,সহপরিচালক, অ্যাড. বিমল কুমার দাস, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো শাহাদত হোসেন ফিরোজী,সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান, সাবেক উপজেলা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম,  বীরমুক্তি যোদ্ধা অ্যাড. সুকুমারচন্দ্র দাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. আব্দুল মান্নান,বীরমুক্তি যোদ্ধা আলী ইমাম দুলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান গতকাল বুধবার সকালে মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধের চলমান কাজ পরিদর্শন কালীন সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই দৃঢ় পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নির্মানাধীন  মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর,স্মৃতি সৌধ আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর হয়ে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button