কামারখন্দসিরাজগঞ্জ

ভদ্রঘাটের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও স্মৃতিসৌধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: গত সোমবার, ৯ অক্টোবর, বিকেল ৩টায় কামারখন্দ উপজেলার কালিবাড়ি ভদ্রঘাটে গড়ে ওঠা নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সবুজ, কামারখন্দ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন পলাশ ডাঙ্গা যুবশিবিরের কমান্ডার ইনচীফ (সিএনসি) ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোরহাব আলী সরকার, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, সাবেক উপজেলা কমান্ডার  বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী, বীল মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মাখন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রভাত কুমার দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিঃ আব্দুল মান্নান, কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, সম্পা খাতুনসহ বিভিন্ন উপজেলার কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডারসহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।

পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের সহপরিচালক অ্যাড. বিমল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই দৃঢ় পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নির্মিত  মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর,স্মৃতি সৌধ আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর হয়ে থাকবে। এসময় সাংসদ মুন্না বলেন,  আনুষ্ঠানিকভাবে স্মৃতি সৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধনের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন ।

এছাড়াও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্মৃতি জাদুঘর রক্ষণাবেক্ষণ, বই ক্রয় ও সংরক্ষণ, আসবাবপত্র সহ স্মৃতি জাদুঘরের মান উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে  মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর ও  ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button