সিরাজগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর তাৎপর্য মূলক ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী।
এসময় তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একাজে দল, মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্য বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের স্বাধীনতা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম আর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, আমাদের লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন আর বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথগ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১, এসবই এক ও অভিন্ন সূত্রে গাঁথা।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতিরায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ইমরান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।