সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা বাজার এলাকার আব্দুল মান্নানের রাইস মিলের টিনের ঘরের একটি কক্ষ থেকে রোববার সকাল ৭টার দিকে এলাকাবাসি ওই মিলের ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল মমিন মন্ডলের(৩৮) লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় মসজিদ চত্বরে নিয়ে পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করে। এ দিন সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে মিল মালিক,এলাকাবাসি, নিহতের পরিবার ও আত্নীয় স্বজন বাঁধা দেয়। এরপর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পুলিশ-মিল মালিক,এলাকাবাসি, নিহতের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনের সাথে দফায় দফায় বৈঠক। এ বৈঠক চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম হোসেন বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশের কাছে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমোতি চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ অনুমোতি না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী নাসরিন খাতুন বলেন, কি ভাবে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি আরও বলেন, মিল মালিক আমার দুই শিশু মেয়ের ভরনপোষণের দায়ীত্ব নিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে আমাদের আর কোনও অভিযোগ নেই। ফলে আমরা লাশের ময়নাতদন্তে রাজি না। তাই লাশ নিয়ে যেতে পুলিশকে বাঁধা দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ শেষ পর্যন্ত লাশ নিয়ে গেছে।
নিহতের বাবা ইজ্জত আলী মন্ডল বলেন, আমার ছেলে কি কারণে মারা গেছে তা বলতে পারবো না। কিন্তু আমরা লাশের ময়নাতদন্ত চাই না। এ জন্য লাশ নিয়ে যেতে পুলিশকে বাঁধা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশকে না জানিয়ে লাশ দাফনের চেষ্টার খবর জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর লাশ ময়না তদন্তে পাঠাতে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসি বাঁধা দিলে তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক শেষ ময়না তদন্তের লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ভোরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।