সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গত বুধবার (১৯ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত বছরের ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির প্রত্নতত্ত্বের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিধি অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ জানান পূর্ণাঙ্গ রায়ে তিনটি নির্দেশনায় দেন এক. প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃতি করে এমন কোন ভবন/স্থাপনা আছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। দুই. তদন্তে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃতি করে এমন কোন ভবন/স্থাপনা যদি পাওয়া যায় তাহলে সেসব ভবন/স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তিন. রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিকটস্থ জমি ও ভবন এর ব্যাপারে যথাযথ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারবে।