রায়গঞ্জ থেকে মো. মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান: জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার অধিকাংশ কৃষকরা। পার্চিং একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হলো ফসলের ক্ষেতে বা মাঠে ডাল বা কঞ্চি পুঁতে দেয়া। এর ফলে কীটনাশক ছাড়াই ফসল রক্ষা করা যায়।জমিতে উঁচু স্থানে পাখি বসার সুযোগ তৈরি করাকেই পার্চিং বলা হয়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং লাভজনক। কারণ এর মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার ও ফসলের উৎপাদন খরচ কমে। এই পদ্ধতির আরও একটি সুবিধা হলো পাখির বিষ্ঠা জমিতে জৈব পদার্থ যোগ করে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে।
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বোরো ধানের জমিতে পাটের খড়ি বা বাঁশের কঞ্চি পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে এটি পর্যাপ্ত না বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ। এটির ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন ব্যাক্তিগণ। এটি বেশি বেশি ব্যবহারের ফলে পাখিরা মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি পোকা, ধানের স্কিপা পোকার মথ, শিষ কাটা লেদা পোকা, সবুজ শুঁড় লেদা পোকা, শুঁড় ঘাস ফড়িং, লম্বা শুঁড় ঘাসফড়িং ও উড়চুঙ্গা ধরে ধরে গিলে ফেলবে।
উপজেলার মিরের দেউলমূড়া গ্রামের কৃষক মো. জহির রায়হান বলেন, পার্চিং পদ্ধতিতে ধানচাষ করে লাভবান হয়েছি। আমার মতে এটি প্রত্যেক জমিতেই ব্যবহার করা দরকার। এখনও জমিতে পর্যাপ্ত না থাকায় বিভিন্ন জমির খেতের আইলে কবুতরসহ বিভিন্ন পাখিকে বিচরণ করতেও দেখা গেছে। তাই আমার মতে প্রত্যেক জমিতেই পার্চিংয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জমিতে পর্যাপ্ত পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে, পাখিরা যেন সহজেই ক্ষতিকর পোকামাকড়গুলো দেখতে পায় এবং ধরতে পারে সে জন্যই একটু ঘন ঘন পার্চিং দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন উপজেলার একাধিক সচেতন কৃষকেরা।