তাড়াশসিরাজগঞ্জ

তাড়াশে রাস্তা বন্ধ করে পানির ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রানীর হাট আঞ্চলিক সড়কের পশ্চিম ওয়াপদা বাঁধের ট্রাক শ্রমিক অফিসের সামনের তিন রাস্তার মোড়ে দুই পাশে দুইটি মাছের ভটভটিতে পানি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, রাস্তা বন্ধ করে পানি বিক্রির সময় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। এ কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।

এদিকে মাছের পানি পড়ে অনবরত সড়কগুলো ভিজে রয়েছে। সড়কের পাকা নষ্ট হয়ে খোয়া বেড়িয়ে পড়েছে। দ্রততম সময়ের মধ্যে সড়কের উপর পানির ব্যবসা বন্ধ করা না গেলে কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কগুলো খানাখন্দে ভরে যাবে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাড়াশ থেকে রানী হাট সড়কের বিনসাড়া হাটের সামনে সড়কের উপর পানি বিক্রি করছেন আক্তার হোসেন, বস্তুল বাজারে সড়কে পানি বিক্রি করছেন আজমত আলী, রানীহাট বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে ভবনীপুর সড়কে পানি বিক্রি করছেন পাভেল। কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ভোগলমান চৌরাস্তা মোড়ে  সড়কের উপরে পানি বিক্রি করছেন নূর মোহাম্মাদ, ওমর আলী ও আব্দুল গফুর। তাড়াশ পৌর এলাকার পশ্চিম ওয়াপদা বাঁধের তিন রাস্তা মোড়ে পানি বিক্রি করছেন আকবার আলী ও আব্দুল হাকিম। এ ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের উপরে ভটভটি ও ছোট ট্রাক রেখে মাছের পানি বিক্রি করা হয়। এরা সবাই বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য নিজেদের দোকানের সামনে পানি বেচার ব্যবসা শুরু করেছেন।

বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের অটোভ্যান চালক আব্দুল কাদের, ইসমাইল হোসেন ও খয়বার হোসেন বলেন, ভ্যানের উপার্জনে আমাদের সংসার চলে। ১৫ থেকে ২০ বার প্রতিদিন লোকজন নিয়ে তাড়াশ উপজেলা সদরে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের  উপর ভটভটি ও ট্রাক রেখে পানি বেচার কারণে আমাদের সময়ের অপচয় হচ্ছে। মাছের গাড়িতে পানি দেওয়া শেষ হলে তারপর যেতে পারি।

অপরদিকে ভুক্তভোগী বাস ও ট্রাকের চালকরা জানিয়েছেন, তাড়াশ থেকে রানী হাট সড়কটি নতুন নির্মাণ ও প্রসস্থ করার ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ঢাকা ও রাজশাহী মুখী দূর্পাল্লার অনেক যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে পানির ব্যবসার কারণে সময় মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছিনা।

জানা গেছে, বগুড়া ও নাটোর পর্যন্ত সংযোগ থাকার দরুণ তাড়াশ থেকে রানী হাট সড়কটির এলাকাভিত্তিক যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। নাটোর, রাজশাহী ও বগুড়াতে চাকরিরত অনেক কর্মকর্তা এই সড়ক দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নিয়মিত অফিস করেন।

মাছের গাড়িতে পানি বিক্রেতা আব্দুল হাকিম, নূর মোহাম্মাদ, ওমর আলী ও আব্দুল গফুর বলেন, তাড়াশে আরো অনেকে অনুরূপভাবে পানি বিক্রি করেন। তারা বন্ধ করলে আমরাও পানির ব্যবসা বন্ধ করে দেব।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম তরফদার সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে ও সড়কের ক্ষতি সাধন করে যারা পানির ব্যবসা করছেন এ সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button