গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি), সিরাজগঞ্জের মাছুমপুর শাখার সেমিনার কক্ষে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ রেইজ প্রকল্পভুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। “ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় ধারবাহিকতা” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে “রিকভারি এন্ড এ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর ইমপ্লয়মেন্ট (রেইজ)” প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা এনডিপি আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এনডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন খান। প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন রেইজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী কৃষ্ণ দাস সাহা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এনডিপি’র উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র উদ্যোগের সফলতার জন্য আরও উদ্যোমী হওয়ার জন্য সকল উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট এরিয়া ম্যানেজার মো. আনিসুর রহমান, রেইজ প্রকল্পের লাইফস্কীল অফিসার এহসান আহমেদ ও কেইস ম্যানেজমেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয় করেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম ও রেইজ প্রকল্পের এক্যাউন্টস অফিসার মো. নুর আলম স্বপন। সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মাছুমপুর শাখার প্রকল্পভুক্ত কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়, যারা সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ২০০১ সাল থেকে অগ্রসর কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই ধরাবাহিকতায় সহযোগী সংস্থা এনডিপি রেইজ প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ও বৈশ্বিক মন্দাবস্থায় শহর, উপশহরাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক খাতের ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে জুন ২০২২ হতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে যার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা এবং বগুড়া জেলার ১১ টি উপজেলার ৫০০ জন ঋণ গ্রহীতা সদস্য পর্যায়ক্রমে উক্ত প্রশিক্ষণের আওতায় আসবে। এ প্রশিক্ষণটি অংশগ্রহণকারীগণের ব্যবসায় উদ্যোগ, ঝুঁকি কমানোর কৌশল, ব্যবসায় ধারাবাহিকতা, আয়-ব্যয় হিসাব এবং ব্যবসা উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে যা দেশের উৎপাদনশীলতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।