কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়, যারা সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ২০০১ সাল থেকে অগ্রসর কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই ধরাবাহিকতায় সহযোগী সংস্থা এনডিপি রেইজ প্রকল্পের মাধ্যমে শহর, উপ-শহরাঞ্চলের অনানুষ্ঠানিক খাতের উৎপাদনমূখী তরুণ ছোট উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগের সম্প্রসারণের নিমিত্তে এ খাতে ঋণ গ্রহীতাদের ২ মাস ব্যাপি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর রেইজ প্রকল্পের উদোগে সংস্থার মাছুমপুর শাখার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গত রোববার আয়োজিত ৯৬ ঘন্টাব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও এনডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন খান।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে “রিকভারি এন্ড এ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর ইমপ্লয়মেন্ট (রেইজ)” প্রকল্প আয়োজিত প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর রেইজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প সমন্বয়কারী এস.এম খালেদ মাহফুজ, প্রোগ্রাম অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনডিপি রেইজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী কৃষ্ণ দাস সাহা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এনডিপি’র উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকে তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো উদ্যোমী হয়ে সফলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট এরিয়া ম্যানেজার মো. আনিসুর রহমান, রেইজ প্রকল্পের লাইফস্কীল অফিসার এহসান আহমেদ ও কেইস ম্যানেজমেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয় করেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম ও রেইজ প্রকল্পের অ্যাক্যাউন্টস অফিসার মো. নুর আলম স্বপন। ২ মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন এনডিপি’র সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শহর এবং মাছুমপুর শাখার প্রকল্পভুক্ত ২০ জন তরুণ উদ্যোক্তা। পর্যায়ক্রমে সকলে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসবে। এ প্রশিক্ষণটি অংশগ্রহণকারীগণের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসায় উদ্যোগ, ঝুঁকি কমানোর কৌশল, ব্যবসায় ধারাবাহিকতা, আয়-ব্যয় হিসাব, ব্যবসা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে যা দেশের উৎপাদনশীলতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
