স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জে মানুষ ও পশু-পাখির উন্নয়নে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল রেজিস্টান্স বিষয়ক দুদিনের প্রশিক্ষণ শেষ হলো। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকা এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও সদর ভেটেরিয়ান হাসপাতাল আয়োজনে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিয়ান হাসপাতাল হল রুমে প্রশিক্ষণের সমাপণি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দীন। এসময় ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নাছিম রেজা নূর দিপু, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. হেলাল আহমেদ প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার। প্রশিক্ষক হিসেবে আরও বক্তব্যে রাখেন, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফডিআইএল) ডা. রৌশনি আক্তার, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন পোল্ট্রি ও ডেইরি বিশেষজ্ঞ ডা. আশিষ কুমার দেবনাথ, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডা. মোছা. মৌসুমি খাতুন, ডা. মো. জাকারিয়া। দুইদিন ব্যাপি প্রশিক্ষণে সচেতন খামারি, ড্রাগ ও কেমিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্বত্তাধিকারীবৃন্দ, সাংবাদিক সহ মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
দু’দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকগণ বলেন, সারাবিশ্বেই মানুষের খাবারের পার্থক্যের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতেছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ান ব্যবহার করে সেই রোগ দমনে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অত্যাধিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার জন্য অনেক রোগ সহজে নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। যেটা বাংলাদেশের মতো দেশে ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারন অ্যান্টিবাটিকের যথেষ্ট ব্যবহারে অ্যান্টনাইক্রোবিয়ান রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে। সেই জন্য প্রাণীজ, আমিষ ও অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে খামারিকে প্রশিক্ষণ ও বায়োসিকিউরিটি তৈরি মাধ্যমে সচেতন করা হয়।