রুপপুর পারমানবিক বিদুৎ কেন্দ্রের নিকিম কোম্পানীর পরিচালক এর গাড়ি চালক মো.সম্রাট হত্যার এজাহারনামীয় আসামি আব্দুল মমিনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২। গাড়ি চালক সম্রাট বয়স আনুমানিক ৩০ বছর গত ২৩ মার্চ ডিউটি শেষে নিজ বাড়িতে না ফিরলে, ব্হু খোজাখুঁজির পর তার বাবা গত ২৫ মার্চ বাদী হয়ে পাবানা জেলার ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ( যার মামলা নং-৫৮, তারিখ-২৫/০৩/২০২৩, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০)।
এজাহার ও র্যাব সূত্রে জানা যায় গাড়ি চালক সম্রাট প্রতিদিন রাত ১০.৩০ টার মধ্যে ডিউটি শেষে নিজ বাড়িতে ফেরত যেতেন। কিন্ত গত ২৩ মার্চ গাড়ি চালক সম্রাট ডিউটি শেষে নিজ বাড়িতে না ফিরলে, তার পরিবারের লোকজন তার মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে ২৪ মার্চ নিকিম কোম্পানীর অন্য চালকদের কাছে নিহতের বাবা সম্রাটের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় যে চালক সম্রাট ২৩ মার্চ রাত ৮.১০ টার সময় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ডিউটি শেষ করে অফিসের প্রোডো গাড়ি (যাহার নং- ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-৪৭৪৮) নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে যে সম্রাট অফিসের প্রোডো গাড়িসহ বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়ায় তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু মো. আব্দুল মমিনের বাসায় গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে সম্রাটের পরিবারের লোকজন মমিনের বাসায় গিয়ে মমিন কে না পেয়ে মমিনের স্ত্রী মোছা. সীমার কাছে সম্রাটের ব্যাপারে জানাতে চাইলে সে উত্তেজিত হয় এবং সম্রাটের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলা হতে বিরত থাকে। পরে নিহতের বাবা গত ২৫ মার্চ বাদী হয়ে পাবানা জেলার ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ( যার মামলা নং-৫৮, তারিখ-২৫/০৩/২০২৩, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০)।
এ ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব-১২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ এর অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে ঢাকার হাতিরঝিল থানাধীন বাংলা মোটর এলাকা হতে এই হত্যা মামলার মূল হোতা পলাতক আসামি মো. আব্দুল মমিন(৩২), পিতা-মো. বাহাদুর খাঁ, সাং-বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া(দোকানপাড়া), থানা-ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনাকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করে র্যাব-১২।
পরে পরিচালক তার গাড়ি ও চালক সম্রাটকে বহু খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ২৫ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ অনুমান সকাল ০৮.০০ টায় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন চর সাদিপুর ইউপিস্থ আড়ুয়াবান্দা গ্রামের সিলাইদহ ঘাট নামক স্থান হতে কুমারখালী থানা পুলিশ একটি সাদা জিপ গাড়িসহ সম্রাটের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় মো. আব্দুল মমিনকে আঠক করে র্যাব-১২।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধারনা করা হয় পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের কারনে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বসবর্তী হইয়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে র্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।