তাড়াশসিরাজগঞ্জ

ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নারীদের কাছে জনপ্রিয় গোবরের লাকড়ি

গোলাম মোস্তফা: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর নারীদের রান্নার কাজে গোবরের লাকড়িই অন্যতম ভরসা। গ্যাসের চুলা বা উন্নত চুলার বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। লাকড়ি দিয়েই তারা রান্না সম্পূর্ণ করে থাকেন। গোবরের লাকড়ি ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী অধ্যূষিত সরাপপুর গ্রামের ছোট ঘোনার পাড়াতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুইজন গৃহবধূ সোলার সাথে গোবর লাগিয়ে লাকরি তৈরি করছেন। তাছাড়াও অনেকের বাড়িতেই গোবরের লাকড়ি শুকানোর জন্য রোদে দিয়ে রেখেছেন। 

মিনু বালা সিং ও রাশী রানী সিং নামের ওই দুইজন গৃহবধূ বলেন, যুগ যুগ ধরে তারা গোবরের লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় ভাত-তরকারি রান্না করে আসছেন। বিশেষ করে, গোবরের লাকড়ি একবার রোদে শুকিয়ে সারা বছর ঘরে রেখে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। মাঝে মধ্যে তারা খড়-কুটো ও পাতা সংগ্রহ করেও রান্না করেন।

মিনু বালা সিংয়ের স্বামী পরেশ সিং বলেন, সরাপপুর গ্রামে ৫ শতাধিক ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী পরিবার রয়েছে। তাদের কারো বাড়িতেই গ্যাসের চুলা বা উন্নত চুলা নেই। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সুশীল কুমার মাহাতো বলেন, আদি  সংস্কৃতি মেনে ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর লোকজন গোবরের লাকড়ি দিয়েই রান্না করেন। এই লাকড়ি তাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button