সিরাজগঞ্জে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে কামারখন্দ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হলেন শীলা প্রামাণিক। তিনি কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
গত ১৬ মে, মঙ্গলবার কামারখন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ছাকমান আলীর স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে তিনি ২০২২ খ্রিস্টাব্দেও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে শীলা প্রামাণিক বলেন, “এ অর্জন আমার একার নয়। এ অর্জন চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা কলেজের। শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় ভীষণ আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। সব সময়ই চেয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আধুনিক, যুগোপযোগী ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধিতে সবসময় সচেষ্ট। এ অর্জন শিক্ষকতা পেশায় আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং কলেজের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।”
উল্লেখ্য, তিনি ২০২২ সালে কামারখন্দ উপজেলা পর্যায়ে এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ২০০৩ সালে চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০২২ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ২০১২ সাল থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭-১৮ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন এবং ভিজিলেন্স টিমের দায়িত্বও পালন করে থাকেন। তিনি সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইজে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা, একাধারে একজন কবি ও আবৃত্তি শিল্পী। আজ আগামী ২৪.কম এর সাহিত্য সম্পাদক। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা সাতটি। এছাড়াও প্রথম আলো-সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ও সিরাজগঞ্জের প্রায় সকল স্থানীয় পত্রিকায় তার বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল লেখা প্রকাশিত হয়।
তিনি কিশোর অপরাধ-সহ সমাজের নানাবিধ অবক্ষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে থাকেন এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা দানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অপরাধ জগৎ থেকে দূরে রাখার জন্য উপদেশনা ও নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত প্রমিত ও শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানান চর্চায় নিজেকে সদা ব্যস্ত রাখেন। কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে তাঁর যথেষ্ট সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাঁর একান্ত নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ই তাঁকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর এ সফলতার জন্য পরিবারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সকলের সহযোগিতায় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযোদ্ধা হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট, আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন মানবিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করেন।