কার্তিকের শেষের দিকে শীতের আমেজ অল্প অল্প অনুভুত হচ্ছে। আর ক’দিন পরেই হয়তো শীত জেকেঁ বসবে। এ দিকে শীতের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রামীণ রাস্তার মোড়ে কিংবা জনসমাগম স্থানে ভ্রাম্যমান মাটির চুলায় তৈরী করা ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির ধূম পড়েছে। এ সব চুলায় ভোর বেলায় তৈরী হয় ভাপা পিঠা আর বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চিতই পিঠা তৈরী ও বিক্রি। আর এ সব পিঠা তৈরী ও বিক্রি করছেন পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও। এ সব মূখরোচক পিঠা খাওয়া হয় গুড়, ধনে পাতা বাটা, সরিষা বাটা, মরিচ বাট ও শুকটী বাটা দিয়ে। সারা বছরের চেয়ে শীত কালে এ ভাপা ও চিতই পিঠার কদর বেশী থাকে এমনটাই জানালেন পিঠা বিক্রেতা মো. আনিছুর রহমান।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা, আলেপ মোড়, মহিষলুটি অটো-ভ্যান গ্যারেজ, বিনসাড়া বাজার , গোন্তা বাজার, রানীর হাট রাস্তার মোড়, কাউরাইল বাজার, মান্নান নগর চৌরাস্তা, মঙ্গলবাড়িয়া বাজার, খুটিগাছা তিন রাস্তার মোড়, খালকুলা বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অস্থায়ী ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানে পিঠা বিক্রি হচ্ছে। এ সব দোকানে ভাপা পিঠায় চালের গুঁড়া, নারিকেল কুরানো, খেজুর গুড়, লবণ, সামান্য পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ ঝাল মসলা দিয়ে চিতই পিঠা বানাচ্ছেন। আকার ভেদে প্রতিটি পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায়। আর এ সব পিঠা খাওয়ার জন্য সব বয়সের লোকজন ভীড় করছেন দোকানগুলোতে। ক্রেতারা অনেকেই সেখানেই দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। আবার অনেকেই প্যাকেটে করে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জন্য নিয়েও যাচ্ছেন।
পিঠা খেতে আসা উপজেলার কাউরাইল গ্রামের সাব্বির আহম্মেদ, আব্দুস সালাম, ইসমাইল হোসেন, সিরাজ, মুক্তি খাতুন সহ আনেকেই জানান, সাধারণত বিকেলের নাস্তা হিসেবে এ ধরণের পিঠাই বেশ ভালো লাগে। শীত আসলেই এ সব ভ্রাম্যমান দোকান বসে, তারা বাড়তি রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। শীতের সময় ভাপা এবং চিতই পিঠা খেতে বেশ মজা লাগে। এ সময় এর চাহিদাও বেশি থাকে। তাই দোকানে দাঁড়িয়ে খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান তারা।
উপজেলার তালম ইউনিয়নের রানীর হাট চৌ-রাস্তার মোড়ে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রেতা নান্নু মিয়া জানান, প্রতিদিন সকাল-বিকেলে মাটির চুলা বসিয়ে গরম গরম ভাপা ও চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা হয়। বেচা-কেনা বেশ ভালোই হয়। সারা বছরের চেয়ে শীতের দিনে এ পিঠার বেশ চাহিদাও রয়েছে। তাই অনেকেই শীতের মৌসুমে পিটা বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এ পিঠা মূখরোচক খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের শ্রেণী পেশার লোকজন। এতে শীত মৌসুমে বাড়তি আয়ও হয়ে থাকে তাদের।