এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলাদলি নিরসন করতে হবে, নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব যে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য তা একেবারে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিটির কো-চেয়ারম্যান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির আনোয়ার একথা বলেন। তিনি আরও বলেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোকবর্তিকা হয়ে ফিরে এলেন বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের কাছে। দীর্ঘ ৪০-৪২ বছর ধরে শেখ হাসিনার নিরন্তর সংগ্রামের সুফল আমরা পাচ্ছি।
গতকাল রোববার, ১৫ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় কবির বিন আনোয়ার আরও বলেন প্রধানমন্ত্রীর সূদুরপ্রসারী সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে আজকে আমরা সারা বিশ্বের মাঝে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান পেয়েছি।
বিএনপি-জামায়াত জোট এর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে ঘাতক রাজাকার আমার দেশের মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল পাকিস্তানিদের হাতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সেই রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের নেতৃত্বে প্রগতিশীল মানুষের উপরে আক্রমণ করা হয়েছিল। সারাদেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, বাংলা ভাই তৈরি হয়েছিল। আমরা মধ্যযুগে ফিরে গিয়েছিলাম।
পৌরসভা মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইসুফ সূর্য, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিকুল ইসলাম শফি ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টি এম সোহেল। সংবর্ধনা সভায় সিরাজগঞ্জের আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।