সিরাজগঞ্জে টাকা দিলে হাতে আসে গ্রীভিয়াস ডাক্তারী সনদ। ডাক্তারী সনদের কারনে আদালতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। টাকা না দিতে পারলে গুরুতর আহত হলেও মিলে না গ্রীভিয়াস ডাক্তারী সনদ। এতে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিলে, আহত হয়নি এমন ব্যক্তিকে ডাক্তার নিজেই মাথায় ব্লেড দিয়ে সামান্য কেটে সাত দিন ভর্তি দেখিয়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে গ্রীভিয়াস ডাক্তারী সনদ। এহেন অবস্থার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্টি শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করছেন সিরাজগঞ্জের সচেতন মহল।
জানা যায়, ২৯ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ২০ হাজার টাকা দিয়েও ডাক্তারি সনদ না দেবার অভিযোগে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না’র বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তারাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম। অভিযোগের কপিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দফতরে অনুলিপি প্রেরন করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সালামের মামাতো ভাই শাহাদত ফকির, তার স্ত্রী হাওয়া খাতুন এবং তাদের বড় ছেলে হাশেম আলীকে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওইদিনই আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত তিন জনের মধ্যে শাহাদত ফকির গুরুতর আহত হন। ন্যায় বিচার পাওয়ার সুবিধার্থে শাহাদত হোসেনের গুরুতর ডাক্তার সনদ প্রাপ্তির জন্য জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: শামীমুলের সাথে যোগাযোগ করেন আব্দুস সালাম।
ডা. শামীমুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকায় রফাদফা হয়। চুক্তি মোতাবেক সনদ উল্লাপাড়া থানায় প্রেরণ করার কথা থাকলেও ডা. শামীমুল সেটা করেননি। গত মার্চের মাঝামাঝিতে হাসপাতালে এসে ডাক্তারি সনদ হাতে চাইলে সনদ না দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষের সাথে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব দেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না মহোদয়কে অবগত করেছি। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।