সদরসিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে বায়োফর্টিফাইভ জিংক ধান ও চাল সংগ্রহে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জে বায়োফর্টিফাইভ জিংক ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার, ৭ মে দুপুরে অফিসার্স ক্লাবে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যৌথ আয়োজনে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইপ্স্রোভড নিউট্রিশনের সহযোগীতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিরাজগঞ্জ গনপতি রায়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর, গ্লোবাল এলায়েন্সের প্রতিনিধি ডা. এম মনির উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত, কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যান প্রসাদ পাল, বেলকুচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর, সদর খাদ্য বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, বেলকুচি খাদ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহাদ হোসেন, চান্দাইকোনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরামাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিউট (বিনা) এর বিজ্ঞানীরা উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান৭৪, ব্রিধান-৮৪, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, ব্রিধান-১০২ এবং বিনা ধান২০ উদ্ভাবন করেছেন। এই চালের প্রতি কেজিতে রয়েছে ২৪ থেকে ২৭ মিলিগ্রামের বেশী জিংক যা পরিবারের সবার পুষ্টি নিশ্চিত করে। জিংক চাল শিশু, কিশোর কিশোরী, গর্ভবতী মহিলা ও পরিবারের সবার জন্য বিশেষ উপকারী। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ চাল আপনার আশে পাশের দোকানেই সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর বলেন, জিংক অনুপুষ্টির অভাবে শিশুসহ সকল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শিশুর ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়, শিশুর শারীরিক ও মেধার বিকাশ ব্যাহত হয়, শিশুরা বেঁটে হয়ে যায়, নারীদের সন্তান ধারন ক্ষমতা বাধাগ্রস্থ হওয়াসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এত সব রোগ শোকের মধ্যে আশার আলো নিয়ে এবার বাজারে এসেছে আমাদের দৈনিক পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৪, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রিধান-১০২, এবং বিনা ধান-২০ জাতের চাল। এই চালের ভাত খেলে প্রতিদিনের জিংক এর চাহিদা পূরন হবে।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জে বায়োফর্টিফাইভ জিংক ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা ৪০ জন অংশগ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button