সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জি কে এস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলে দুইটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ও স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. রেজাউল করিমকে অপসারণের দাবী জানিয়ে সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। পরে সমাবেশে গণ স্বাক্ষর করেন তারা। পাশাপাশি ওই স্কুলে নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও অভিভাবক সদস্য মো. আক্তার হোসেন।
এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে জি কেএস স্কুল মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রজব আলী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যস্থাপনা সম্পাদক মো. সেলিম রেজা, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ম্যনেজিং কমিটর অভিভাবক সদস্য মো. আক্তার হোসেন, ইউপি সদস্য ঊষা রানী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় সময় জি কেএস স্কুল মাঠে নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ দিকে এলাকাবাসী ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং প্রতিষ্ঠানে যাতে কোন কার্যক্রম চালাতে না পারে সে জন্য অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকে ওই তালাবদ্ধ কক্ষের বাহিরে গ্রাম পুলিশ দিয়ে অফিসটি পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ প্রসঙ্গে তাড়্শ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ বলেন, দূর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জি কেএস স্কুলে দুইটি পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যা এলাকাবাসী জানেন না। এরই প্রেক্ষীতে নিয়োগ স্থগিত ও সভাপতি মো. রেজাউল করিমের অপসারণ দাবী করে এলাকাবাসী সমাবেশ করেছেন। আমি জনগণের দাবীর সাথে একমত পোষণ করছি।