১৯৭১ সালের ১৮ মে সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলে পাক হানাদার বাহিনী একজন শিক্ষকসহ ৭ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ইউনিয়নে প্রায় ৬০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়। প্রায় ৫ বছর ধরে ১৮ মে মুক্তিযুদ্ধের এই শহীদদের স্মরণে শিয়ালকোলে গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
গণহত্যা দিবসের শিয়ালকোল বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, শোক মিছিল, বিকেলে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
দিবসের শুরুতে বুধবার (১৮ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কে এক শোক শোকর্যালি আয়োজন করা হয়।শিয়ালকোল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাঠে শহীদ মিনারে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিকেল ৫টায় গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিয়ালকোল কলেজ মাঠে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মু্ক্িতযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা নব কুমার কর্মকার, শহিদ মু্ক্িতযোদ্ধার সন্তান অধ্যক্ষ লুতফর রহমান, সাবেক মেম্বর শহিদুল আলম, বীর মু্ক্িতযোদ্ধা হাফিজুর রহমান ও বীর মু্ক্িতযোদ্ধা আব্দুল মালেক খন্দকার।
দিনব্যাপী কর্মস‚চিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক স্বপন চন্দ্র দাস, আব্দুল আজিজ মেম্বার, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ভাষা, আরমান আলী, হারেজ আলী, সেলিম রেজা, শামসুল আলম, মন্নাফ খন্দকার মেম্বর, নুরুল ইসলাম প্রামাণিক, আকবর আলী, ফজলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, স্বপন সরকার, বিমল কুমার রবিদাস, আব্দুল মজিদ শেখ, সোহেল রানা, জামাল উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেন প্রমখ।