গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী :
অতি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী সহ অভ্যান্তরিন নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হচ্ছে । বন্যার পানিতে বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্যা কবলিত হয়ে পরেছে ।
এই সব বিদ্যালয়ের কোন টির চারিদিকে পানি আবার কোনটি পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পরেছে । জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮টি, কাজিপুরে ৭টি,এবং বেলকুচিতে ১০টি বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়েছে । তবে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ সংখ্যা আরও বেশী বলে জানা গেছে । বন্যা কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষীদের ক্লাশ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। আবার যে এলাকায় বিদ্যালয়ের আশপাশে উচু ভিটা আছে সেখানে ক্লাশ নেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যে সব এলাকায় উচু ভিটা নেই সে সব এলাকায় ক্লাশ বন্ধ রযেছে বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে ।
এব্যাপরে কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান তার উপজেলায় ইতিমধ্যেই ১৪টি বিদ্যালয় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে । তিনি জানান বন্যা কবলিত যে এলাকায় উচু ভিটা আছে সেখানে ক্লাশ নেয়া হচ্ছে বাকি গুলোতে ক্লাশ বন্ধ রয়েছে । তিনি আরো জানান বন্যা কবলিত এলাকায় প্রাক প্রাথমিক ও প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেনীর ক্লাশ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে দূর্ঘটনার আশংকায় ।
শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানান তার উপজেলায় কোন বিদ্যালয় এখনও বন্যা কবলিত হয়নি । তবে ২৫ টি বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি হয়েছে । এই বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে বলে তিনি জানান ।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ জানান ৮টি বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়েছে । এর মধ্যে পার পাচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্য বাড়িতে নেয়া হয়েছে এবং কেচুয়া হাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানাান্তর করা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন