আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি প্রতিনিধি : টানা পাঁচ দিন সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে।
অনেকে আবার শীত থেকে একটু স্বস্থি পেতে খরে আগুন জালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে। রোববার (১৪জানুয়ারি) সকাল থেকে দেখা মিলেনি সূর্যের, সকালে ঘন-কুয়াশা রাস্তা যান চলাচল কম, মাঝে মাঝে কিছু যান চললেও হেড লাইট জালিয়ে চলতে দেখা যায়। এদিকে শীতের তীব্রতায় বেশী কষ্টে রয়েছেন দিন মজুর রিক্সাচালক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তারা না পারছেন ঘরে বসে থাকতে, না পারছেন বাইরে কাজ করতে।
বেলকুচি চালা বাজারে দিন মজুর লালন বলেন সকালে মানুষের বাজার করা জিনিষপত্র বাড়িতে পৌছে দেওয়া তার কাজ, এতে আগে প্রতিদিন তার ইনকাম হতো ৩ থেকে ৪শত টাকা এখন তীব্র শীতের কারনে বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় এখন ১৫০ থেকে ২০০শত টাকা আয় হচ্ছে এতে ৫ছেলে মেয়ের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, সে বলে সরকারী বেসরকারী কোন সংস্থা যদি শীত নিবারনের জন্য কম্বল জাতীয় কাপড় ব্যবস্থা করতো তাহলে সকালে কাজে আসতে সুবিধা হতো বলে জানায়।
উপজেলার পৌর এলাকার গাড়ামাসি গ্রামের আইউব আলী ও চর চালা এলাকার রিকশাচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত ৪/৫ দিন ধরে বেলকুচিতে যে ঠান্ডা পড়ছে তাতে রিকশা চালাবার উপায় নেই। এরই মধ্যে রিকশা চালিয়ে ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছি। তবে ঘরে শুয়ে থাকলে তো আর পেটে ভাত জুটবে না। বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
পৌর এলাকার জিধুরী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ সকাল থেকে যে কুয়াশা পড়েছে এবং যে শৈত্যপ্রবাহ বইছে তাতে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে বের হতে ভাবতে হচ্ছে। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাঁচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতের কারণে সারাদিনই গরম পোশাক পরে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বেলকুচি উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা মোফাখ্খারুল ইসলাম বলেন, শীতের মাঝামাঝিতে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল, এখন একটু কম। তবে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।