কামারখন্দ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নতুন সেতুর নির্মাণ হলেও মামলার কারণে হয়নি এর সংযোগ সড়ক। পুরোনো ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়েই চলাচল করছেন যাত্রীরা। সেতুর রাস্তা ভূমি অধিগ্রহনের সময় একটি মামলা হয়েছে, তাই কাজ শেষ হয়নি জানান নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মামলার বাদী আব্দুল হাই সেখ জানান তার জায়গা অধিগ্রহন না করে সেতুর রাস্তা নেওয়ায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে, কামারখন্দের বলরামপুর হাট সংলগ্ন সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। এর নির্মাণে প্রাক্যলিত মূল্য ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৫ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সন্দীপ ট্রেডার্স স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকার বিনিময়ে সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়। ৩০ আগষ্ট ২০২০ সালে এটি নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো চলাচলের উপযোগী হয়নি। স্থানীয় সরকার কর্তৃক চিহ্নিত ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়ে এখনো বিভিন্ন প্রকার সাধারণ যানবাহন সহ মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ঠিকাদার অনেকদিন ধরে এই কাজ করছেন। নিয়মিত কাজ না করার কারণে এটি নির্মাণে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়সাল আহমেদ জানান, সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে ভূমি অধিগ্রহনের সময় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলা নিস্পত্বি না হওয়ায় সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারিনি। তবে আশা আছে খুব দ্রুতই এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এদিকে জায়গার মালিক আব্দুল হাই সেখ বলেন, সেতু নির্মাণে যেইটুকু জায়গা প্রয়োজন সেই জায়গা অধিগ্রহন করা হয়েছে। কিন্তু আমার জায়গা অধিগ্রহন না করেই জোড়পূর্বক সেতুর রাস্তা নেওয়া হচ্ছে। তাই আমি মামলা করেছি। আমার জায়গার প্রকৃত মূল্য পরিশোধ না করলে আমি রাস্তা করতে দেবো না। কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল¬াহ আল মামুন জানান, সেতুটি নির্মাণের সময় ওই এলাকার আ. হাই তার জায়গা দাবি করে মামলা করে। এই জন্য এটি নির্মাণে একটু সময় লাগছে। অল্প দিনের মধ্যে এর সুষ্ঠু মিমাংসা হয়ে যাবে।