চৌহালীসিরাজগঞ্জ

ছয় বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক  : সেতু এখন দুর্ভোগের কারণ

ইদ্রিস আলী, চৌহালী প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া  ইউনিয়নের অধিবাসিদের যোগাযোগ সহজ করতে ৫২ মিটার আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত  একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায়  কয়েক হাজার মানুষের দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।

স্থানীয়রা বলেছেন, ছয় বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর ২০২১ সালের শেষের দিকে এটি শেষ হয় । তবে তিন বছরেও দুই পাশে সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। জমির ফসলসহ মালামাল আনা-নেয়া চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে দ্রুতই বক্স কালভার্টসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

চৌহালী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বাঘুটিয়া ও উমারপুর  ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের নাগরপুর, টাংগাইল  ঢাকা, আরিচা সহ বিভিন্ন যায়গায়  যাতায়াত সুবিধার জন্য বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর  বিনানই মরা নদীতে  সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। যা ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও  সেতুটি ২০২১ সালের নভেম্বরে  নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে  সংযোগ সড়ক  নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এলাবাসীর দাবি দ্রুত সেতুর দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা।

এবিষয়ে বিনানই গ্রামের  মো. রফিকুল ইসলাম  বলেন- নদীর প্রস্থের  তুলনায়  সেতুটির দৈর্ঘ্য অনেকটাই কম করা হয়েছে। এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরেও শেষ  হয়নি। দুপাশে মাটি না থাকায় কোটি টাকার সেতুটি সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসছে না।

বাঘুটিয়া ইউনিয়নের মো. মুছা মাষ্টার বলেন- ব্রীজটির পাশেই রয়েছে প্রায় হাফ ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কমলমতি শিক্ষার্থীরা এই ব্রীজ দিয়েই চলাচল করতে হয়। দু’পাড়ে মাটি ভরাট না থাকা শিক্ষার্থীদের চরম ভোঘান্তি পোহাতে হয়।

 বিনানই গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিল বলেন,  ব্রিজটি চলাচল উপযোগী হলে আমাদের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন বড় বড় হাটবাজারে নিয়ে কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারব।

সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ করা হচ্ছে না জানতে চাইলে চৌহালী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ মিটার বক্স কালভার্টসহ দুই পাশের অ্যাপ্রোচ নির্মাণের প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button