স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পুকুরপাড় প্রতিভা মডেল কিন্ডার গার্ডেন স্কুল প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে অমিত প্রতিভাবান রবীন্দ্রোত্তর শ্রেষ্ঠ নাট্যকার নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল-দীনের ৭৩তম জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। এ উপলক্ষে এদিন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ছিল, নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল-দীনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ,আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ভ্রার্তৃপ্রতিম সংগঠন পূরবী থিয়েটার ও শিশু সংগঠন ভোর হলো, যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পুকুরপাড় প্রতিভা মডেল কিন্ডার গার্ডেন স্কুল সার্বিক সহযোগিতা করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুকুরপাড় প্রতিভা মডেল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের অধ্যক্ষ ও পরিচালক আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ম.জাহান, সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মিলন, প্রভাষক আব্দুল লতিফ, শাহবাজ খান সানি ও এনজিও কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দস রিপন।
কবি মমতাজ উদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক সৈকত আলী, মুহতাসিম ইরাদত স্বাক্ষর,তানজিল আহমেদ,রেদোয়ান হোসেন,রাকিব আলী,রাব্বি হোসেন,মো: রাব্বি,রাতুল আহমেদ,মাহফুজ আলী,আকাশ রহমান,সাগর আলী প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে পূরবী থিয়েটার ও ভোরহলো শিশু সংগঠনের সকল সদস্য এবং পুকুরপাড় প্রতিভা মডেল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অমিত প্রতিভাবান রবীন্দ্রোত্তর শ্রেষ্ঠ নাট্যকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অধ্যাপক ড. সেলিম আল দীন ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নিজের মাটি ও মানুষকে তিনি চিনতেন জন্মদাগের মতো। এই ভূখ-ে হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া পূর্বজনদের শিল্পকর্মের উত্তরাধিকার তিনি বহণ করেছেন আধুনিক মননশীলতার মেধাবী স্পর্শে।
তার রচিত ‘হরগজ’ নাটকটি সুইডিশ ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল কর্তৃক হিন্দি ভাষায় মঞ্চস্থ হয়েছে। সেলিম আল দীনের নাটক ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। নাট্যচর্চায় অসামান্য অবদানের জন্য সেলিম আল দীন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুস্কারসহ আরও বহু সম্মাননা ও খেতাবে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এ নাট্যব্যক্তিত্ত্ব ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ইহলোক ত্যাগ করেন।