চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হায়দার আলীর বিরুদ্ধে সেশন চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে কলেজ চত্বরে অধ্যক্ষের অতিরিক্ত সেশন চার্জের নামে অর্থ নেয়া ও অন্যান্য অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধ্যক্ষের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা শ্লোগান দেন।
জানা যায়, খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় সেশন চার্জের এক হাজার টাকাসহ অন্যান্য ফি বাবদ কলেজ নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করেছে প্রায় ৪০০ শতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, ক্যন্টিন ও ইলেক্ট্রিসিটি সুবিধার জন্য আলাদা ফি সহ নবিণবরণ অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ দেয়া হয়। সেগুলোর কোন সুবিধা শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি। তারপরও ‘ইয়ারচেঞ্জ’ বা বার্ষিক উন্নয়ন পরীক্ষার আগে হঠাৎ করে অধ্যক্ষ হায়দার আলী শিক্ষার্থীদের নিকট সেশন চার্জ বাবদ আবারও ৫০০ টাকা করে দাবি করেন। অতিরিক্ত এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আগামী রোববার অনুষ্ঠিতব্য ইয়ারচেঞ্জ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয়া হবে না-বলে অভিযোগ করেছেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকিভ মুছা আলভি, নাহিদ আহম্মেদ ইমন, মুস্তাকিম হোসেন ও সেরাজুল ইসলাম। তারা আরও জানায়, ক’মাস আগে কলেজের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ডের জন্য অধ্যক্ষ হায়দার আলী প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেড়শ টাকা করে উত্তোলন করে। তবে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে সে সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসতে বাধ্য হন। পরে স্বল্প মুল্যে অন্যত্র থেকে বানিয়ে নেয়া হয়।
এছাড়া এবছর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রথম বর্ষের প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে অধ্যক্ষ হায়দার আলী ৮০০ টাকা করে অনৈতিকভাবে ‘অ্যাসাইনমেন্ট ফি’ আদায় করে। সেই অর্থ ফেরতের দাবিতে ৮ জানুয়ারি মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রচার হয়। পরে অবশ্যই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি বলে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এবিষয়ে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আপতত টাকা নেয়া হবে না। পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হবে। তবে ফাইনাল পরীক্ষার আগে টাকা দিতে হবে।
এদিকে চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকার বলেন, সরকারি বিধির বাহিরে কোন অর্থ আদায় কিংবা এমন কর্মকান্ড কাম্য নয়, এগুলো খুবই লজ্জাজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া আগের তদন্ত রিপোর্ট দ্রুতই পাঠানো হবে।