পৃথিবীর সব শিশু ও কিশোরদের মেধা ও প্রতিভা আছে। শিশু ও কিশোরদের প্রতিভা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হল স্কাউটিং। স্কাউটদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্যই বাংলাদেশ স্কাউটস আয়োজন করছেন প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে স্কাউটরাও শিক্ষা কার্যক্রমে নিজেদের যোগ্যতা ও সামর্থ্য প্রমান করতে পারে। বাংলাদেশ স্কাউটস, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালনায় বাংলাদেশ স্কাউটস স্পেশাল ইভেন্ট বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ও বাংলাদেশ স্কাউটস সিরাজগঞ্জ জেলা স্কাউটসের আয়োজনে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার, ২১ অক্টোবর, সকালে শহরের প্রধান ডাকঘর সংলগ্ন সিরাজী রোডস্থ স্কাউট ভবণে স্কাউটদের অংশগ্রহণে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্কাউটস সিরাজগঞ্জ এর জেলা সম্পাদক সরকার ছানোয়ার হোসেন ( এলটি)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন ও স্কাউটদের উদ্দেশ্য দিকনির্দেশক মূলক বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্কাউটস,রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক উপকমিশনার ( স্পেশাল ইভেন্টস) মো. মাহমুদুল হক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনকে বড় করে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জেলা উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে স্কাউটদের মেধা বাছাই করা হয়। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্কাউটের সঙ্গে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকে প্রতিভাবান। প্রতিভা না থাকলে, এই জাতীয় মহৎ কাজে নিয়োজিত থাকা যায় না। নিজের জেলাতে কবিতা, আবৃত্তি দেশাত্মবোধকগান, পল্লীগীতি, নাচ, কেরাত, মূকাভিনয়, আযান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, বাংলা ভাষায় উপস্থাপন, এমন নানাবিধ কাজে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে এখানে এসেছে ; যা ভীষণভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আগামির পৃথিবীটা শিশুদের মতো সুন্দর হয়ে ওঠুক। এসময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ব্যর্থতার গ্লানি ঘুচিয়ে এই শিশুরাই ২০৪১ সালে নান্দনিক বাংলাদেশ গঠন করবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সহকারী পরিচালক বাংলাদেশ স্কাউটস, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জেলা স্কাউটস এর কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ মিয়া, স্কাউটস এর সহকারী কমিশনার মো. খালেকুজ্জামান খান, সদর উপজেলার স্কাউট কমিশনার মো. সাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ( এএলটি), জেলা কাব লিডার মো. আইউব আলী, অন্বেষণ মুক্ত স্কাউট দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মো. হোসেন আলী (ছোট্ট) প্রমুখ।
প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ জেলা স্কাউটসের অন্তর্ভুক্ত উপজেলা পর্যায়ে এবং এর আশেপাশে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।