সিরাজগঞ্জে বেসরকারি ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকালীন সিরাজগঞ্জ শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমানে এক্সিম ব্যাংক, বসুন্ধরা রোড শাখায় কর্মরত রয়েছেন তিনি। ব্যাংকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড করে একজন মানবিক বন্ধু হিসেবে সকলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায় ও দুঃখী মানুষের সাহায়্যকারীর ভূমিকায় পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এম. এম কামরুল হাসান। সমাজে পিছিয়ে পড়া গরীব অসহায় মানুষদের মুখে হাঁসি ফোটাতে তিনি শুধু অর্থ, খাদ্য সহায়তাই নয় শীতকালীন সময়ে শীর্তার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করে তাদের পাশে দাঁড়ান তিনি। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা বৃত্তি ও স্কুল ব্যাগ প্রতি শনিবার দুপুরে এস এস রোডস্থ মুসলিম সুইটস এর সামনে থেকে মাংস ও ভাত গরীব অসহায় মানুষদের হাতে খাবারের পেকেট তুলেদিচ্ছেন। এবং ওনার সংগঠন সেবা মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় এবং কর্মক্ষম দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশীন বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জন বসতীপূর্ন এলাকায় টিউবয়েল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। চক্ষু রোগিদের জন্য বিনামূল্য চক্ষু অপারেশন ও চোখে লেঞ্চ লাগানো সহ তিনি ইতিমধ্যে ৬ টি চক্ষু শিবির করেছেন। এতে প্রায় ৯০০ শত রুগীকে চোখে অপারেশন এর মাধ্যমে চোখে ছানী পড়া রুগীকে কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন কওে দিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ তারিখে উল্লাপাড়া উপজেলা পঞ্চকুষী হাজী আহম্মেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরবর্তী চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে সেই ক্যাম্পে ২০০ শত রুগীকে চোখের ছানী অপারেশনের মাধ্যমে কৃত্বিল্যান্স প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হবে।
তিনি সমাজে বৃত্তবানদের এ রকম সমাজ সেবামূলক কাজে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান। এমএম কামরুল হাসান (পিআরএস) তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাতে অ্যাওয়ার্ড পদক গ্রহণ করেন।
এম এম কামরুল হাসান সমাজসেবামূলক ধারাবাহিক কর্মকান্ডের কারণে তিনি এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এজন্য ইতিমধ্যেই তিনি পেয়েছেন মানুষের ভালো বাসা। তিনি আজ গোটা সিরাজগঞ্জের স্কাউট, ও রোভার স্কাউটদের গর্ব। সিরাজগঞ্জের স্কাউটিংকে তিনি বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি কোন রাজনৈতিক সংগঠন বা পদপদবিতে না থেকেও মানবতার টানে সবসময় অসহায় পরিবারগুলোর পাশে থেকে অব্যাহত রেখেছেন সামাজিক ও মানবিক কাজ। অসহায়দের নীরবে নিভৃতে সাহায্য করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ওনার এসব মানবিকতা সত্যিই অসহায়দের মাঝে প্রেরণা জুগিয়েছে। উল্লেখ্য, কামরুল ইসলাম এর পিতা ছিলেন ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের প্রয়াত আব্দুল আজিজ মিয়া। প্রয়াত আব্দুল আজিজ ১৯৩০ সালের ১ লা জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ব্রাক্ষ্মনগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৫৬ সালে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘদিন জেলা স্কাউট সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ” রৌপ্য ইলিশ পদকে ভূষিত হন। তিনি ২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্কাউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক ছিলেন।