কামারখন্দসিরাজগঞ্জ

কামারখন্দে বেশিরভাগ সরকারি দফতর নতুন অফিস সময়সূচিতে অভ্যস্থ হতে পারেননি

ওমর ফারুক ভুইয়া, কামারখন্দ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সরকার নির্দেশিত নতুন অফিস সময় সূচিতে এখন অভ্যস্থ হতে পারেননি বেশিরভাগ সরকারি দফতর। নতুন অফিস সূচি অনুযায়ী সকাল ৮টায় বেশিরভাগ সরকারি দফতরের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারি থাকছেন না উপস্থিত। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে আসা মানুষেরা। রোববার এচিত্র দেখা যায় উপজেলা সদরের দফতরগুলোতে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক পরিপত্র থেকে জানা গেছে, সব দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৮টায় নিজ দপ্তরে উপস্থিত হতে হবে। কিন্তু এ সরকারের নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী দফতরে হাজির থাকছেন না কামারখন্দ উপজেলার ৩৫টি সরকারি দপ্তরের অধিকাংশ দফতরের কর্তা ব্যক্তিরা।

রোববার সকালে কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়,  মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে দাপ্তরিক কাজ সারছেন। ঘড়ির কাটা যখন সকাল ৯টা। ততক্ষণে এ তিন কার্যালয় বাদে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়, সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অধিকাংশ কার্যালয়ে দেখা মেলেনি দপ্তর প্রধান ও কর্মচারিদের।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসা কয়েকজন নারী জানান, আমরা সকাল ৮ টা থেকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু এখন সকাল ৯টা বাজলেও তার দেখা পাচ্ছি না।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন জানান, আমি সকাল সাড়ে ৮টায় অফিসে এসেছি। সকাল ৯টা পর্যন্ত আমার জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে দেখিনি।  সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রোববার সকাল ৮টা ৪৭ মিনিটে জানান, স্যার ব্যক্তিগত কাজে সিরাজগঞ্জে আছেন আসতে দেরি হবে।

এরকম অবস্থা প্রায় সকল দপ্তরের। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমা খাতুন জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সকল সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিত থাকতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কেন সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আমরা দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button