উল্লাপাড়াসিরাজগঞ্জ

উল্লাপাড়ায় সাবেক এমপি আকবর আলী’র সংবাদ সম্মেলন

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: জোর করে কারো জায়গা বা ঘর দখল করে বিএনপি দলীয় কার্যালয় করতে পারে না। এটি বিএনপিথর আদর্শের পরিপন্থী। সোমবার দুপুরে উল্লাপাড়ায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি এম আকবর আলী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, গত ১৬ বছর উল্লাপাড়ায় বিএনপির কোন কার্যালয় ছিল না। কিন্তু এই সময়ের আগে উল্লাপাড়া সমবায় সমিতির একটি পাকা ঘর ভাড়া নিয়ে বিএনপির কার্যালয় করা হয়। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই কার্যালয়ের ভাড়া পরিশোধ না করায় কয়েক  বছর আগে সমবায় সমিতি তাদের উল্লেখিত ঘরটি সঞ্জয় কুন্ডু নামে এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেয়। সঞ্জয় ওই ঘরে ফাস্ট ফুডের দোকান করেন।  গত ৫ আগস্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে একটি  মহল সঞ্জয় কুন্ডুকে তার ঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে সেখানে বিএনপির কার্যালয় হিসেবে একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।  এই কর্মকান্ডকে তিনি অন্যায় ও অবৈধ  হিসেবে উল্লেখ করেন।

এই ঘটনার পর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেন গনমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাবেক এমপি আকবর আলী উল্লেখিত কার্যালয়টি তার কর্মীদের নিয়ে ভাংচুর করেছেন এবং একই সঙ্গে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবিও ভাংচুর করিয়েছেন।

 এ প্রসঙ্গে আকবর আলী সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, যিনি দুইবার বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন এবং এখনো দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি বিএনপির আদর্শের অনুসারী হয়ে কীভাবে  খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙ্গতে পারেন। আকবর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উল্লাপাড়ায় তার পরিচিতি ও সুনাম নষ্ট করা এবং মানুষের মধ্যে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আজাদ হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এই মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করেছেন। তিনি এই বনোয়াট তথ্য পরিবেশনের তীব্র নিন্দা জানান।

এদিকে আকবর আলীর বক্তব্যে প্রেক্ষিতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে আজাদ জানান, তিনি গনমাধ্যমকে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক। আমি কোন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করিনি। যেহেতু এই ঘরটি একসময়ে বিএনপির অফিস ছিল। সেই কারণে তার অনুসারীরা পুনরায় ওই ঘরটি বিএনপি কার্যালয় বানিয়েছে এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে তিনি (আজাদ)  ঘরটি আবারো তাদেরকে ভাড়া দেবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আজাদ হোসেনকে এখন পর্যন্ত তাদের ঘরটি বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়নি। তবে আজাদ ঘরটি ভাড়া নেবার প্রস্তাব করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button