আবুল ইসলাম শিকদার: কয়েকদিন আগে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে একটা লেখা লিখেছিলাম। তাতে বেশ কিছু গালাগাল শুনতে হয়েছিল। কারণ তখনো চারিদিকে “বিপ্লবের” উন্মাদনা এবং ভারত বিরোধিতার মহোৎসব চলছে। মনে হচ্ছিল ভারত আমাদের সামনে নস্যিতুল্য। এক ফুৎকারে ভারতকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারি।
অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহেবও সমস্ত বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে বেশ চটকদার মন্তব্য করা শুরু করলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল চারদিকের উন্মত্ত জনতাই ঠিক। আমিই এক নাদান।
কিন্তু কিছুতেই নিজের মনকে প্রবোধ দিতে পারছিলাম না। আমার কথা ছিল ভানত যদি আমাদের বন্ধু নাও হয়, তব্ওু কৌশলগত দিক থেকে তাকে বন্ধু হিসেবেই গণ্য করতে হবে। কে শোনে কার কথা। গালি একটাও মাটিতে পড়েনি। ” ভারতের দালাল” এই সস্তা তকমাটি দিতে কেউ আলস্য করেনি।
এখন স্বয়ং সেই দালালী করতে হচ্ছে কর্তাকে এবং বিভিন্ন কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দলের প্রধানকে। কারণ ঘোর কেটে গেছে। বাস্তবতায় পা পড়েছে। এখন শুনি দুর্গাপূজার ভেট হিসেবে আবার তিন হাজার টন ইলিশও পাঠানো হবে। তাহলে কী হলো? বুঝতে পারছিনা। ইলিশ পাঠানোর পক্ষে আমরা নই। কারণ এখনো একটা সিজনাল ইলিশ দেশের অনেকেই খেতে পারেনি।
ভারতের সাথে সম্পর্ক হবে সমমর্যাদা ভিত্তিক। নতজানু নয়। কোথায় যুদ্ধ করে ভারতকে লণ্ডভণ্ড করে দেবার হুমকি , আর কোথায় গা ঘেষে ইলিশ দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করা! যদি এমনই হবে তবে কী দরকার ছিল অমন ফালাফালি কিংবা লাফালাফি করার?