সিরাজগঞ্জে এইচআরডি নেটওয়ার্ক এর ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্টিত হয়। জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)র আয়োজনে এবং মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর সহযোগিতায় ডিফেন্ডিং হিউম্যান রাইটস থ্রো নেটওয়ার্ক স্টেন্দেনিং (ডিএইচআরএনএস) প্রজেক্টের আওতায় সিরাজগঞ্জ এইচআরডি নেটওয়ার্কের সকল সদস্যদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ আগস্ট শনিবার এনডিপি মাসুমপুর শাখা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রধান নির্বাহী অ্যাড. সাইদুর রহমান।
এনডিপির নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরডি নেটওয়ার্ক সিরাজগঞ্জ এর কনভেনার মো. আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসালটেন্ট সৈয়দ রোকন উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন এনডিপির উপপরিচালক ও ডিএইচআরএনএস প্রকল্পের ফোকাল পারসন এবং মানবাধিকার কর্মী কাজী মাসুদুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সমন্বয়কারী মোহাম্মদ টিপু সুলতান, সিরাজগঞ্জ এইচআরডি নেটওয়ার্কের সদস্য এবং দৈনিক সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিরাজগঞ্জ এর সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর সাধারন সম্পাদক নরেশ চন্দ্র ভৌমিক, এনডিপির প্রতিবন্ধিতা ও শিক্ষা কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক ও মানবাধিকার কর্মী শিপন চন্দ্র নাগ। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ এইচআরডি নেটওয়ার্কের সদস্যবৃন্দ।
সভায় ২৮ মে ২০২৪ থেকে ৩০ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলায় মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামের ১৩ বছরের মেয়েকে ভারতে পাচার ও জয়েন বড়ধুল গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষন এই বিষয়ে গ্রাম্য শালিসে এক লাখ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার জন্য সিদ্ধান্ত দেয় তাতে ভিকটিম ও ভিকটিমের অসন্তোষ প্রকাশ করেন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সহ পরবর্তী আইনি সহায়তা প্রদান করার জন্য ৩ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে পরিচালিত গণঅভ্যুত্থানের সময় সিরাজগঞ্জ জেলার মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনার তথ্য সংগ্রহে ৭ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। সভার শুরতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদরে আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথি মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকলে নিজ নিজ জায়গা থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।