এনায়েতপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একটি মিছিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুবৃত্তরা পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষন করে শিক্ষার্থী শিহাব-শফি ও ইয়াহিয়াকে হত্যা করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর, নারায়নগঞ্জে র্যাবের এক যৌথ অভিযানে ওই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক অন্যতম আসামী বেলকুচি-চৌহালী সংসদীয় এলাকার সাবেক এমপির পিএস সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা ০২টি মোবাইল ফোন ও ০১টি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল এনায়েতপুর থানার আল হেরা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্র জনতার গণ আন্দোলন নসাৎ করার জন্য পিস্তল দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে ছাত্র জনতার মিছিলে অংশগ্রহণকারী এনায়েতপুর থানার শিহাব হোসেন (১৯), পিতা. মো. শফি মিয়া, গ্রাম-মাধবপুর, হাফেজ মোঃ সিয়াম হোসেন (২০), পিতা. মো. কুদ্দুস আলী, গ্রাম-গোপরেখী ও মো. ইয়াহিয়া আলী, পিতা. মো. শাহজাহান আলী, গ্রাম-খুকনী ঝাউপাড়া গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়। গুলিতে আহত অবস্থায় তাদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মোছা. শাহানা খাতুন (৩৫), স্বামী-মৃত ইয়াহিয়া আলী, মো. হযরত আলী (৩৪), পিতা. মৃত আবু বক্কর মোল্লা এবং মো. সোলায়মান (২৯), পিতা. মো. আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে ০৩টি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২.৩০ এর দিকে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি ও র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার ড্রিম কনভেনশন হল, উত্তর মাসদাইর, গাবতলী এলাকায় এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় এই হত্যা মামলার ২৮ নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামি সেলিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম সরকারের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার শেরনগর (কামারপাড়া) গ্রাম। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।