স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জে কখনো পুলিশ বাহিনীর, কখনো বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৬ লক্ষ্য ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুয়া রিপন (৩৩) নামের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার, ৪ মে দুপুরে ভুক্তিভোগী সুমন কুমার থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ভুয়া কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে, বুধবার (৩ মে) বিকেলে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডা এলাকায় ভুক্তভোগীরা তাকে আটক করে পুলিশ দেয়।
গ্রেফতার রিপন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের সদানন্দপুর এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সয়দাবাদ ইউপি’র খিদির বটতলায় সুমন কুমারের মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে রিপন মোবাইল মেরামত করার সুবাধে পরিচয় হয়। তখন আসামী রিপন নিজেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের বড় অফিসার পরিচয় দেন। সেই সূত্র ধরে বিদ্যুৎ প্লান্টে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নগদ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নেয় রিপন। পরে চাকুরী না দিতে পারায় সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে একই এলাকার হাসান সরকারকে পুলিশের কনস্টেবলে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তার পিতার নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেয়।
চাকুরী দেওয়ার নামে এই দুইজনের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেয় এই প্রতারক রিপন। ঘটনা ২০ মাস অতিবাহিত হলেও চাকুরী দিতে না পরলেও টাকা ফেরত চাহিতে সে আজকাল করিয়া কল ক্ষেপন করিতে থাকে। এই ঘটনার জের ধরে ভুক্তভোগীরা প্রতারক রিপনকে আটকিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে।
সদর থানার ওসি তদন্ত সুমন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনতা পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। আটক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশ ও বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীর মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে প্রতারককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিচয় যাচাই না করে কারো সাথে লেনদেন করা উচিৎ নয় মিষ্টিকথার প্রলোভনে না পড়া, ভিজিটিং কার্ড বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখেই আশ্বস্ত না হওয়া, কারো পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ হলে পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি।