চৌহালী প্রতিনিধি: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। চৈত্রের মতো খরতাপে হাসফাঁস অবস্থা আর সাথে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
এ উপজেলায় ২৪ ঘন্টায় ১২-১৪ ঘন্টা লোডশেডিং চলে। প্রায় সময় গভীর রাত পর্যন্ত থাকে না বিদ্যুৎ। অসহনীয় গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা । স্থানীয়রা রাতে ঘুমাতে পারছে না ঠিকমতো।এছাড়াও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্টুডিও, ফটোকপি , সকল প্রকার ইলেকট্রিক ইলেকট্রনিক্স পণ্য মেরামতের দোকানদার সহ ছোট ছোট মিল কারখানা ও তাঁত মালিক এবং শ্রমিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ চৌহালী উপজেলা টাংগাইল পল্লী বিদ্যুৎ এর অধীনে হওয়ায় লোডশেডিং এর সমস্যা তীব্র হয়েছে। পার্শ্ববর্তী টাংগাইলের নাগরপুরে বিদ্যুৎ থাকলেও চৌহালীতে লোডশেডিং এর মাত্রা বেশি।
চৌহালী পল্লী বিদ্যুৎ জোন অফিস সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর এবং চৌহালীতে মোট ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে মাত্র ১০ মেগাওয়াট। বর্তমানে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের নিয়মিত ঘাটতি রয়েছে। এদিকে প্রচন্ড গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অস্বাস্থ্যকর পানীয়। ফলে উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া, সর্দিকাশি, জ্বর, পানিশূন্যতাসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা রোগবালাইয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গরম ও পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন রোদ এড়িয়ে চলার। পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছেন বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, লেবু শরবত ও খাবার স্যালাইন খাওয়ার। এ বিষয়ে টাংগাইল বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু হানিফ মিয়া বলেন, সারা বাংলাদেশের লোডশেডিং চলছে। নাগরপুরের সাথে চৌহালীতে বিদুৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করার সুযোগ নেই। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে বিষয়টি আমি দেখবো।