সদরসিরাজগঞ্জ

জেলা পর্যায়ে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

গত বুধবার, ২৬ জুন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসকের শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবিব।

প্রশিক্ষণের শুরুতে জেলা প্রশাসক প্রশিক্ষণ আয়োজনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া, ডেপুটি সিভিল  সার্জন ডা. ওবায়দুল ইসলাম। 

শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠক করেন কোট ভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু বকর সিদ্দিক, গীতা পাঠ করেন বিদুৎ কুমার।

প্রশিক্ষণে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে  পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন  উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লিটুস লরেন্স চিরান।

পরে মুল প্রবন্ধের ওপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী, বিএমএ সভাপতি,  বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জহুরুল হক রাজা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কায়ছার আহমেদ লিটন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর, দৈনিক সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ইসমাইল হোসেন,  নিজউ টুয়েন্টিফোর এর সিনিয়র রিপোর্টার হীরক গুণ, ডিডিপি এনজিও এর নির্বাহী পরিচালক কাজী সোহেল রানা প্রমুখ।

প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব তার বক্তব্যে সারাবিশে^ তামাকজনিত কারণে ক্ষতির প্রভাব বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ করার এর ঘোষণা দিয়েছেন । প্রধান অতিথি এসময় আরো বলেন, এলক্ষ্যপথে এগিয়ে যেতে ২০৩০ সালের মধ্যেই তামাকের ব্যবহার ১৪% কমিয়ে আনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। প্রধান অতিথি এনামুল হাবীব এসময় সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তত একটি উপজেলাকে তামাকমুক্ত  মডেল উপজেলার রূপান্তরের লক্ষে কাজ করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, দেশে অতীতের চেয়ে বর্তমানে ধুপমানের ব্যবহার কমেছে। যেকারণে একজন ধুমপায়ী ধুমপান করার সময় সতর্কতার সাথে পরিবেশ দেখে ধুমপান করেন। তিনি বলেন, ধুমপান কিংবা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আসলে মাদকাসক্তির ব্যবহার। এ থেকে মুক্ত হতে পরিবারের মা ও বাবার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন।

সভাপতির ভাষণে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান উন্মুক্ত আলোচনার সুপারিশের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, অত্যাবশকীয় তালিকা থেকে  সিগারেট কে অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিত। তিনি উপস্থিত সকলকে প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞান নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রয়োগের আহবান জানান। প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, পৌর প্যানেল মেয়র-০১, নূরুল ইসলাম,  মো. হাবিবুর রহমান খান, উপপরিচালক, সমাজসেবা, মোহাম্মদ আলী, উপপরিচালক, তথ্য বিভাগ, ফারুক আহমেদ, উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কানিজ  ফাতেমা, উপপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, আব্দুল মান্নান, উপ-সহকারী পরিচালক, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের জেলা প্রধানগণ, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের কর্মীগন অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button