কামারখন্দসিরাজগঞ্জ

কামারখন্দে নিম্নমানের ধান বীজে কপাল পুড়েছে কৃষকের

ওমর ফারুক ভুইয়া, কামারখন্দ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এবছর ইরি-বোরো মৌসুমে স্থানীয় হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির মোড়কের নিম্নমানের ধান বীজ ব্যবহার করে কপাল পুড়েছে কয়েক শতাধিক কৃষকের।

ধানের বয়স হওয়ার আগেই ফুলে বেড়িয়েছে আবার কিছু কিছু ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করে পেকে উঠছে আবার জমির কিছু ধান ভালো থাকলেই মাঝে মাঝে লম্বা লম্বা শীষ বেরিয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা এই সব ধানের নাম দিয়েছে রোহিঙ্গা, দোতলা, ভাইরাস ধান। এসব ধানের ফলনে ধ্বস নামবে এবং কাঙ্খিত খাদ্য উৎপাদন হবে না বলে জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তারা।

জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের অনুমতি নিয়ে নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি ধান বীজ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছ। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকের নেই বিএসটিআই-এর অনুমোদন। আকর্ষণীয় রঙ্গিন প্যাকেটে ও খুচরা ভাবে ব্রি- ধান ২৮ ও ব্রি- ধান ২৯ বাজারজাত করে এই প্রতিষ্ঠান গুলো। কৃষি অফিসের তেমন নজরদারি না থাকায় অধিক মুনাফার আশায় স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীরা এই ধান বীজ গুলো বিক্রি করেন বলে অভিযোগ কৃষকদের।

এছাড়াও উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানিয়েছেন, কৃষি অফিসের নজর দাড়ি না থাকায় সিরাজগঞ্জের মধ্যে উৎপাদিত বীজ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেই নামিদামি ব্রান্ডের নামে ধান বীজ বাজারে আসে কোন টা আসল কোনটা নকল বোঝার উপায় নেই।

এবছর ধান বীজ নিয়ে কৃষকদের বেশি অভিযোগ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধুকুরিয়া এলাকার ‘যমুনা সীড’ এর বিরুদ্ধে। এই যমুনা সীডের ধান বীজ ব্যবহার করে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ জানান, ধানের এই সমস্যা গুলো দুই কারনে হতে পারে। ইরি-বোরো মৌসুমের বীজতলার বয়স ৩০-৩৫ দিন হলে চারা রোপণ করতে হয়। বীজতলার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে চারা রোপণ করলে অল্প বয়সেই ধানে ফুল হবে এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়াও নিম্নমানের বীজের কারণে এই সমস্যা গুলো হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button