প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ধুমপান ও ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহব্বান জানান ৬৩, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। তিনি বলেন, পরিবেশ- জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল শনিবার ২১ জানুয়ারি, সকাল ১১ টার সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ তামাকের আগ্রাসন। তিনি তরুণ সমাজকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে রেডিও, টিভি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ। তাই পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে ধুমপান না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে ক্রমবর্ধমান ই-সিগারেটের ব্যবহার ভয়াবহ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বাংলাদেশে ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য সংসদ সদস্যগণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধূমপান ও তামাক প্রতিরোধের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্লাব প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ইয়ুথ লিডার্স কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন, কামারখন্দ উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম শহীদুল্লাহ সবুজ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনে নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সিরাজগঞ্জ এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হীরা, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য একরামুল হকসহ সদর উপজেলার ৮৪টি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীগন।