তাড়াশসিরাজগঞ্জ

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেল সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের হিসেব নিকেশ

উচ্চ আদালতের রায়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রার্থীতা ফিরে পেল। তার প্রার্থীতা ফেরত পাওয়াতে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনী হিসেব নিকেশে গড়মিল দেখা দিয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের অপর তিনজন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, জাতীয় পাটির প্রার্থী ও রায়গঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি মো. জাকির হেসেন ও বিএনএম মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ তাড়াশ উপজেলার বাসিন্দা। অপর তিন প্রার্থী রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

গত ১৭ ডিসেম্বর জাকের পাটির প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে অনেকটাই বিজয়ে নির্ভর ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। কিন্তু ভোটের সে সমীকরণ হঠাৎ করেই পাল্টে গেল স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইটের প্রার্থিতা ফেরৎ পাওয়ার পর।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৩ আসন রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৫৮ হাজার ৩০৯ ও তাড়াশ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৪। এক লাখ এক হাজার ৭৭৫ ভোটার রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশি। এ হিসেব ধরেই প্রার্থীদের মাঝে নতুন করে হিসেব নিকেশ চলছে।

মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, আমাকে নানা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল। মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থিতা সঠিক প্রমাণ করে যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে রাখতে আমার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, দল সুসংগঠিত রয়েছে। আর সুসংগঠিত আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারেনি। এ কারণে জয়ের বিষয়ে তিনিও আশাবাদী। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে এ আসনে তাঁর করা বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারণ ভোটাররা ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এ আসনের সাধারণ ভোটাররা বলেছেন, সাখাওয়াত হোসেন সুইটের প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছিল এ আসনের ভোটের চিত্র। কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে পুরো চিত্র। পাল্টে গেছে পুরাতন হিসেব নিকেশ। এখন ভোটাররাও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। করছেন নতুন হিসেব-নিকেশসহ নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। তবে আ.লীগ দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে জোড় প্রতিদ্বন্ধিতা হবে বলে মনে করেছেন সাধারণ ভোটাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button